অনিচ্ছাকৃত সেক্স করলে বন্ধ হতে পারে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া

অনিচ্ছাকৃত সেক্স করলে বন্ধ হতে পারে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া

 অনিচ্ছাকৃত সেক্স বা হয়রানিতে কেবল মানসিক আঘাত পায় না মানুষ, নারী ও পুরুষের হৃদযন্ত্রেরও ক্ষতি হয়। মার্কিন ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গের একদল গবেষকের গবেষণার বরাত দিয়ে গতকাল বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ফোর্বস সাময়িকী।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৬০ ভাগ নারী তাদের জীবনে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০ ভাগ জানায়, তারা যৌন হয়রানির শিকার, ২২ ভাগ শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন, তবে অনিচ্ছাকৃত।
ফিলাডেলফিয়ায় অনুষ্ঠিত দ্য নর্থ আমেরিকান মেনোপজ সোসাইটির (এনএএমএস) বার্ষিক অধিবেশনে এই গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রধান গবেষক রেবেকা থার্সটন। যিনি ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গের সাইকিয়াট্রি, সাইকোলজি অ্যান্ড অ্যাপিডেমিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ও ওমেন’স বিহেভিয়রাল হেলথ ল্যাবরেটরির পরিচালক।
গবেষণায় দেখা যায়, অনিচ্ছাকৃত সেক্স এর ফলে নির্যাতিত ব্যক্তির রক্তনালি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে রক্তের চাপের তারতম্য ঘটে। যে কারণে হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এমনকি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধও হয়ে যেতে পারে।

গবেষকেরা ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সী ২৭২ জন অধূমপায়ী নারীর ওপর এই গবেষণাটি পরিচালনা করেন। অংশ নেওয়া নারীদের আগে থেকে কোনো ধরনের হৃদযন্ত্রে রোগ সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। এই নারীদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ল্যাব টেস্টের পর প্রশ্নপত্র দিয়ে মূল্যায়ন করতে বলা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এরপর গবেষকেরা প্রত্যেক নারীর হাতের প্রধান রক্তনালির ফ্লো মেডিয়েটেড ডিলেশন (Flow-mediated dilatation) এফএমডি পরীক্ষা করেন। প্রথমে আলট্রাসাউন্ড মেশিনের মাধ্যমে পরে স্বাভাবিকভাবে রক্তচাপ পরীক্ষা করা হয়। রক্তনালি সম্প্রসারণশীল। যখন শরীরে স্বাভাবিকভাবে অতিরিক্ত রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয় তখন রক্তনালি সম্প্রসারিত হয়ে তাতে সাহায্য করে।


রেবেকা থার্সটন জানান, যেসব নারীর অতীতে গুরুতর মানসিক আঘাত পাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের শরীরের রক্ত, রস ও লসিকাবাহী নালির দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া যদি কোনো নারী রাতে ছয় ঘণ্টা ঘুমাতে না পারেন তাহলে তার রক্তনালির কার্যক্ষমতাও হ্রাস পায়। সাধারণ রেপ এর শিকার নারীদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। ফলে ধীরে ধীরে শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

No comments

Powered by Blogger.