ভূমিকা- সাধারণ

নারী ও পুরুষ-প্রকৃতির এই দ্বৈত সৃষ্টির মধ্যে যে মূল প্রভেদ তার কারণ আর কিছুই নয়,মানুষের শরীরের অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি নিঃসৃত কয়েকটি হরমোন৷ প্রকৃতপক্ষে মহিলাদের শরীরের নারীসুলভ কমনীয়তা আর পুরুষদের শরীরের পুরুষসুলভ বলিষ্ঠতা,এ দুই-ই নির্ধারিত হয় ইস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরনের দ্বারা৷ বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের ডিম্বাশয় থেকে নিঃসৃত হয় ইস্ট্রোজেন নামক হরমোন এবং পুরুষদের শুক্রাশয় থেকে নিঃসৃত হয় টেস্টোস্টেরন নামক হরমোন ৷
যৌন বৈশিষ্ট্যের আবিভাᐂব ও তার বিকাশ:

কৈশোরের সূচনায় দেহের নানাস্থানে অবস্থিত অন্তঃনিঃসরণ হয়৷ গ্রন্থিসমূহের বৃদ্ধি হয় এবং নানা প্রকৃতির হরমোনের প্রভাবে এ বিবর্তনের সূচনা হয়৷ এ সময় একসঙ্গে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে৷ শারীরিক পরির্বতনের দুটি দিক আছে :

১.অভ্যন্তর ও বহি: যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ও প্রস্ফুটন
২.নারীসুলভ দৈহিক বিশিষ্টতার প্রকাশ৷


নারীদেহের অভ্যন্তর যৌনাঙ্গের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো:

১.জরায়ু বা ইউটেরাস -জরায়ু তলপেটের মাঝামাঝি,মূত্রনালীর সামনে অবস্থিত;মাংসপেশী দ্বারা গঠিত৷ এর ভেতরের গায়ে যে শ্লেষ্মাঝিল্লি থাকে তাকে বলা হয় এন্ডোমেট্রিয়াম৷ এই শ্লেষ্মাঝিল্লি থাকেই মাসিক ঋতুস্রাব হয়৷

২.ডিম্বাশয় বা ওভারি - তলপেটের দুদিকে থাকে দুটি ডিম্বাশয়, যাহলো ডিম্বকোষের আধার৷ এক একটি ডিম্বাশয়ে প্রায় এক লাখ ডিম্বাণু থাকে৷

৩.গর্ভনালী বা ফ্যালোপিয়ান টিউব - জরায়ুর ওপরের দুই কোণ থেকে দুটি মাংসপেশীর নালী ডিম্বাশয় বা ওভারি পর্যন্ত প্রসারিত থাকে৷ তাদের নাম গর্ভনালী বা ফ্যালোপিয়ান টিউব ৷অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় মেয়েলি কোন অসুখ হলে মুখ ফুটে কাউকে বলার চেয়ে লুকিয়ে রাখেন বেশি মহিলারা৷ অনেক ক্ষেত্রে মহিলারা জানেন না রোগের লক্ষণ গুলো৷ তাই হয়তো তারা বুঝতেই পারেন না যে তার কি হয়েছে৷ আবার অনেক সময় দেখা যায় অনেকে স্বাভাবিক শরীরক্রিয়াকে রোগ বলে ভুল করে থাকেন অথবা রোগের কোন উপসর্গকে শরীরের সাধারণ স্বতঃস্ফূর্ত আচরণ বলে ভুল করেন৷ এজন্য আসলে দায়ী নারী শিক্ষার অভাব৷ আমাদের মনে রাখতে হবে নারীর সাথে জড়িত থাকে একটি পরিবার৷ আর একারণে নারী শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হতে হবে সকলকে৷ তাহলেই সম্ভব আমাদের দেশে নারী এবং শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনা৷


সাধারণ কিছ স্ত্রী রোগ সম্পর্কে নিম্নে ধারণা দেওয়া হলো-

১. বেদনাময় মাসিক
২. অনিয়মিত মাসিক
৩. মেনোপজ বা মাসিক ঋতু স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়া
৪. অতিরিক্ত স্রাব বা মেনোরেজিয়া
৫. ট্রাকোমোনিয়াসিস
৬. লিউকোরিয়া
৭. যোনি পথে প্রদাহ
৮. মেয়েদের তলপেটের প্রদাহ রোগ
৯. জরায়ুরমুখের প্রদাহ
১০. জরায়ু নিচে নেমে আসা
১১. বন্ধ্যাত্ব
১২. রক্তস্বল্পতাভূমিকা- সাধারণ

No comments

Powered by Blogger.